সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ ও প্রাথমিক কাজ কি কি? এর দায়িত্ব/কার্যাবলী সংগঠন সংক্রান্ত নিয়মাবলী।

সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ দায়িত্ব/কার্যাবলী

সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ দায়িত্ব/কার্যাবলী

একটি প্রতিষ্ঠান সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য অনেক নিয়ম ও দায়িত্ববান ব্যক্তির প্রয়োজন। সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়গুলো জানুন।

১। সভাপতি: যে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যক্তি। তিনি মর্যাদার দিক বিবেচনা করা হলে তিনি সর্বোচ্চ মর্যাদাবান ব্যক্তি হবেন ঐ প্রতিষ্ঠানের। তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল কিছুর খোজ-খবর রাখবেন। তিনি হচ্চে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নেতা। তিনি সভার সভাপত্তি করবেন। তিনি সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন। তিনি সভা পরিচালনার অনুমতি দিবেন। সভাপতি বিভিন্ন কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিবেন এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন। তাহার সিদ্বান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে গন্য করা হবে।

২। সহ-সভাপতি: একজন সহ-সভাপতি তিনি প্রতিষ্ঠানের কোন সিদ্ধান্ত একা গ্রহন করতে পারেন না। সভাপতির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে তার। যদি সভাপতি উপস্থিত না থাকেন বা তাহার অনুমতি থাকেন তাহলে তিনি যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন। তিনি সভাপতির সকল কার্যক্রমে সহযোগীতা করবেন এই তাহার মূল কাজ হিসেবে বিবেচিত হবেন। সভাপতির অনুমতি সাপেক্ষে যে কোন মিটিং এ সংগঠনকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। অনেক প্রতিষ্ঠানে একাধিক সহ-সভাপতি লক্ষ করা যায়। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ২৫/৪০ জন ও দেওয়া যায়। কেননা এটি একটি সম্মানি পদ। সভাপতির পরের মর্যাদাবান পদ হচ্ছে সহ-সভাপতির পদ।

৩। সাধারণ সম্পাদক: একটি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক এর অনেক গুরুত্বপূণৃ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। যত ধরণের প্রশাসনিক কাজ তার করতে হবে। অন্য সকল সদস্যদের সাথে তার যোগাযোগ রাখতে হয়। প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা করতে হবে। অন্য সকল সদস্য ও পদের ব্যক্তিদের সাথে সমন্বয় করতে হয়। প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকান্ড রিপোটিং করতে হয়। অন্য সকল দপ্তরে কার্যক্রম পরিচালনার তদারকি ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করতে হয়। সকল গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি সংরক্ষিত রাখতে হবে। (বলা যায়- প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন পরিচালনা সাধারণ সম্পাদকের হাতেই হয়ে থাকে)।

৪। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক: এই পদে একাধিক ব্যক্তি হয়ে থাকেন। ১, ২, ৩, ………২৫ ইত্যাদি। সাধারণ সম্পাদক এর কাজে সহযোগিতা করা । কেননা একটি প্রতিষ্ঠান সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে হলে সাধারণ সম্পাদক এর গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি তাহার যোগ্যতা বলে একটি প্রতিষ্ঠানকে সফলাতার শীর্ষে পৌছাতে পারেন। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদ ধারী ব্যক্তিরা সকলেই তাহার কার্যক্রমে সহযোগিতা করবেন।

৫। সাংগঠনিক সম্পাদক: কোন দল বা সংগঠন সুষ্ঠভাবে পরিচালনা, নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সদস্যদের সার্বিক কাজের সাথে যুক্ত থাকা, সকল সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রাখা, বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা ও সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করা তাহার দায়িত্ব।

৬।সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক: সাংগঠনিক সম্পাদক এর সার্বিক কাজের সহযোগীতা করবেন এবং তাহার অনুপুস্থিতি তিনি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েও সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করবেন। যাতে করে সংগঠনের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন।

৭। অর্থ সম্পাদক: যিনি অর্থ সম্পাদক থাকবেন তাহার কার্যক্রম নিয়ে সকলেই একটু ভিন্ন ধারনা রাখেন। তিনি সংগঠন, সমিতি বা দল ইত্যাদির সকল হিসাব নিকাশ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। প্রতিষ্ঠানের, সংগঠন, সমিতি বা দল ইত্যাদির সকল আয়-ব্যয় ও দেনা-পাওনার হিসাব তিনি সংরক্ষণ করবেন। নির্দিষ্ট একটি সময়ে পর পর সকল সদস্যদের কে আয়-ব্যয় এর হিসাব তিনি প্রদান করবেন। সময় হতে পারে ( প্রতি মাসের শেষে, ৩মাস পর পর, বার্ষিক ১ বার) এটি মিটিং/সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে।(যদি নগদ অর্থ/টাকার পরিমান বেশি হয় তাহলে যৌথ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে করা ভাল)

৮। সহ- অর্থ সম্পাদক: অর্থ সম্পাদক কে সহযোগিতা করা । যদি তিনি উপস্থিত না থাকেন তাহলে সহ-অর্থ সম্পাদক তাহার ন্যায় দায়িত্ব পালন করবেন।

৯। আইন বিষয়ক সম্পাদক: একটি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, সমিতি বা দল ইত্যাদি পরিচালনার জন্য বিভিন্ন আইন কানুন প্রয়োজন হয়। একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পূর্ণ (আইনজীবি) তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার আইনি সহযোগীতা করবেন। যিনি এই আইন বিষয় কাজটি সম্পূর্ণ করবেন তিনি হচ্ছে আইন বিষয়ক সম্পাদক।

১০। সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক: আইন বিষয়ক সম্পাদক কে তিনি সহযোগীতা করবেন। তিনি উপস্থিত না থাকেন তাহলে সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক তাহার ন্যায় দায়িত্ব পালন করবেন।

১১। দপ্তর- সম্পাদক : তিনি সংগঠনের যাবতীয় দাপ্তরিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকবেন। বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য নোটিশ প্রদান করা। সংগঠনের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ও দলিলাদি তাহার নিকট সংরক্ষিত থাকবেন।

১২। সহ-দপ্তর সম্পাদক : অনেক সংগঠন যখন অনেক বড় হয়ে যায় তখন সংগঠন সুন্দর করে পরিচালনা বা দাপ্তরিক কাজে যাতে করে কোন ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে সেই জন্য সহ-দপ্তর সম্পাদকের পদ সৃষ্টি হয় বা দায়িত্ব দেওয়া হয়। দপ্তর সম্পাদক কে তিনি সহযোগীতা করবেন। তিনি উপস্থিত না থাকেন তাহলে সহ-দপ্তর সম্পাদক তাহার ন্যায় দায়িত্ব পালন করবেন।

১৩। প্রচার সম্পাদক : প্রচারে প্রসার, একটি প্রতিষ্ঠান কে মানুষের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার দায়িত্ব থাকে হচ্ছে প্রচার সম্পাদক এর উপর তিনি সংগঠনের সকল সাথে যোগাযোগ রাখবেন কোন নোটিশ দিতে হলে দিবেন। প্রতিষ্ঠানের কোন তথ্য সকল সদস্যকে জানাবেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ছড়িয়ে দিবেন।

১৪। সহ-প্রচার সম্পাদক: প্রচার সম্পাদক কে তিনি সহযোগীতা করবেন। প্রচার সম্পাদক উপস্থিত না থাকেন তাহলে সহ-প্রচার সম্পাদক তাহার ন্যায় দায়িত্ব পালন করবেন। তবে প্রচার সম্পাদক এর সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাজটি সম্পূর্ণ করবেন।

১৫। সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক: একটি প্রতিষ্ঠানের সমাজকল্যান সম্পাদক তিনি সমাজের মানুষের কল্যানমূলক ও সেবামুলক কাজ করবেন। যাতে করে সমাজের মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে সেটি তিনি লক্ষ রাখবেন ও কাজ করবেন। যেমন: মানুষকে নগদ অর্থ সহায়োতা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, নিজ্য মূল্যে খাবার সর্বরাহ করা, বিভিন্ন বিষয় প্রশিক্ষন প্রদান ইত্যাদি নানাবিধ কাজ করা।

১৬। সহ-সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক: সমাজকল্যান সম্পাদক কে তিনি সহযোগীতা করবেন। সমাজকল্যান সম্পাদক উপস্থিত না থাকেন তাহলে সহ-সমাজকল্যান সম্পাদক তাহার ন্যায় দায়িত্ব পালন করবেন।

১৭। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসাবাস করে। প্রতিটি মানুষ তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করার স্বাধীনতা রয়েছে। সংগঠনের পক্ষ হইতে ধর্মীয় সকল অনুষ্ঠান ও উৎসব পালনের ব্যবস্থা করবেন। যাতে করে কোন ধরনের বাধা ছাড়া যার যার ধর্ম বা উৎসব পালন করতে পারেন।

১৮। সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কে তিনি সহযোগীতা করবেন। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক উপস্থিত না থাকেন তাহলে সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক তাহার ন্যায় দায়িত্ব পালন করবেন।

১৯। ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক: যিনি ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন তাকে অবশ্যই দেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিষয় ভালো ভাবে জ্ঞান থাকতে হবে। একটি দেশে বিভিন্ন ধর্ম ও জাতের মানুষ বসবাস করে। তাদের আচার – ব্যবহার ও ঐতিজ্য ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তিনি সংগঠনের বিভিন্ন খেলার আয়োজন করবেন। খেলার কৌশল, ফলাফল, খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স, খেলোয়াড়দের পরিচিতি, খেলার ইতিহাস , টুর্নামেন্ট আয়োজন, খেলা বিষয়ক বই বা প্রবন্ধ প্রকাশ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

২০। সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক:

২১। সহ- সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক:

২২। মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক:

২৩। সহ- মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক:

২৪। সমান্যায়কারী সদস্য:

২৫। কার্যনির্বাহী সদস্য:

২৬। মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক:

২৭। প্রশিক্ষণ সম্পাদক:

২৮।শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক:

২৯। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক:

৩০। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক:

৩১। শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক:

৩২। তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক:

৩৩। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক:

৩৪। সংখ্যালগু বিষয়ক সম্পাদক:

৩৫। উপদেষ্টা পরিষদ:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *