শ্রমিক ছাঁটাই কাকে বলে ? ছাঁটাই এর শর্তাবলী ও পদ্ধতি কি?

Lay off workers

Lay off workers

শ্রমিক ছাঁটাই:

কোন প্রতিষ্ঠানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান তার প্রয়োজনের অতিরিক্ততার কারণে শ্রমিক কে তার কাজ হতে অবসারণ বা বাদ দেওয়া কে ছাঁটাই বলে। যখন প্রতিষ্ঠানে কাজের পরিমান কম হয়ে থাকে বা অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয় তখন শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়ে থাকে । এটি কোন শ্রমিকের অপরাধ বা শাস্তি নয়, এটি মালিকের বা প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা। যদি কখনো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের ছাঁটাই করার প্রয়োজন হয় তখন একটি নিয়ম বা পদ্ধতি মধ্যেদিয়ে কাজটি সম্পূর্ণ করতে হবে। যাহা শ্রম আইন ২০০৬ এর ২০ ধারার বিধানমতে হতে হবে।

শ্রমিক ছাঁটাই এর শর্তাবলী:

২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২০ (১) ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনের অতিরিক্ততার ফলে কোন প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিকদের ছাঁটাই করতে পারবে।

১) ছাঁটাইঃ প্রয়োজন অতিরিক্ততার কারণে কোন প্রতিষ্ঠান হইতে ছাঁটাই করা যাইবে।

২) নোটিশ প্রদান: কোন শ্রমিক যদি মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে অন্যুন এক বৎসর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকেন তাহলে ১ মাসের লিখিত নোটিশ প্রদান করতে হবে। অথবা নোটিশ মেয়াদের জন্য নোটিশের পরিবর্তে মজুরী দিতে হবে।

৩) প্রধান পরিদর্শক কে নোটিশ প্রদান: নোটিশের একটি কপি প্রধান পরিদর্শক এর নিকট প্রেরণ করতে হবে।

৪) মজুরী বা গ্রাচুইটি : ছাঁটাইয়ের সময় শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ বাবদ তার প্রত্যেক পূর্ণ এক বছর চাকুরীর জন্য ৩০ দিনের মজুরী বা গ্রাচুইটি দিতে হবে।

শ্রমিক ছাঁটাই এর পদ্ধতি:

বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২০(৪) ধারামতে শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে অন্য কোনরুপ চুক্তি না থাকলে সর্বশেষ নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিককে সর্বপ্রথম ছাঁটাই করতে হবে। তবে ২০(৪) ধারায় বর্ণিত সাধারনত কথাটি ছাঁটাই এর বাধ্যতামূল বিধানের কিছুটা ব্যতিক্রম। এক্ষেত্রে মালিক কনিষ্ঠ কর্মচারীকে রেখে জ্যেষ্ঠ কর্মচারীকে বা শ্রমিককে ছাঁটাই করতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সন্তোষজনক বিবেচ্য বিষয় অপরিহার্য এবং তা অবশ্যই লিপিবদ্ধ আকারে সংরক্ষণ করতে হবে, নতুবা মালিককে আইন লংঘনের দায়ে দায়ী হতে হবে।

আপনাদের মনে রাখার সহজ হবে বলে ভিডিও আকারে দেওয়া হল। দয়া করে ভিডিও টি দেখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *