দলিল পড়ার সময় দেখা যায় অনেক ধরনের সংক্ষিপ্ত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এই শব্দ গুলি সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকলে ভালো আইনজীবী, আমিন, সার্ভেয়ার, দলিল লেখক কাজের ক্ষেত্রে আপনি বাধার সম্মুখিন হতে পারেন। তাই আপনার কাগজপত্র সঠিকভাবে জ্ঞান রাখার জন্য হলেও এই শব্দগুলির পূর্ণরুপ জানা থাকা দরকার।
৫১।ছিট আরর্জি: মৌজার কোন অংশ সম্পূর্ণ মৌজা হতে আলাদা হয়ে গেলে তাকে ছিট আরর্জি বলে।
৫২। চিরাগী: কোন কবর বা মসজিদ আলোকিত করার নিমিত্তে উৎসর্গীকৃত নিস্কব ভূমি বুঝায়।
৫৩। ছিট জমি: টুকরো জমি বা খন্ড জমি।
৫৪। শরিক: অংশ।
৫৫। চৌহদ্দি: চতুঃসীমা।
৫৬। জোত: জমিদারের অধীনে প্রজার স্বত্ব বিশিষ্ট জমি।
৫৭। জোতদার: জমির মালিক।
৫৮। তর্কনাজমা: জমি ও ফসলের বিবরণ পত্র।
৫৯। তাসুক: কয়েকটি মৌজার সমষ্টি।
৬০। তোক: ভাগ।
৬১। তৌজি: প্রাপ্য খাজনার বিবরণ পত্র।
৬২। ভূমি জরিপ: জরিপ আইনের সংঙ্গা মতে মৌজা ভিত্তিক ভূমির রেকর্ড তথা খতিয়ান ও নকশা প্রস্তুতের কার্যক্রমকে ভূমি জরিপ বলে।
৬৩। দাখিলা: ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের তহশীল অফিস হতে ভূমি মালিককে যে রশিদ “রেন্ট রিসিটৎ (আর আর) দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলে।
৬৪। মৌজা: গ্রাম।

৬৫। জে.এল.নং: মৌজা নং / গ্রাম নং।
৬৬। ফর্দ: দলিলের পাতা।
৬৭। খং: খতিয়ান ।
৬৮। জং: এর অর্থ স্বামী।
৬৯। সাবেক: আগের/ পূর্বের বুজায়।
৭০। হাল: বর্তমান।
৭১। বং: বাহক, অর্থ্যাৎ যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম লিখে।
৭২। নিংঃ নিরক্ষর।
৭৩। গং: আরো অংশীদার আছে।
৭৪। তঞ্চকতা: প্রতারণা।
৭৫। সাং: সাকিন/গ্রাম।
৭৬। পর্চা: বুঝারতের সময় প্রাথমিক খতিয়ানের যে নকল দেওয়া হয় তাকে পর্চা বলে।
৭৭। বাস্ত: বসত ভিটা।
৭৮। বাটোয়ারা দলিল: বন্টন নামা দলিল। (সকল ওয়ারিশগনের হিস্যা অনুযায়ী দলিল রেজি: করা) দলিল।
৭৯। বায়া দলিল: বিক্রেতার সম্পূর্ণ হওয়া পূর্বের দলিল।
৮০। মং: মূল্য, মবলগ / মোট।
৮১। মবলক: মোট।
৮২।এওয়াজ: সমপরিমাণ কোন কিছু বদলে সমপরিমাণ কোন কিছু বদল করাকে এওয়াজ বলে।
৮৪। হিস্যা: অংশ বা ভাগ।
৮৫। একুনে: যোগফল।
৮৬। এজমালী: কোন ভূমি বা জোতের একাধিক শরীক থাকিলে তাহাকে এজমালী সম্পত্তি বা এজমালী জোত বলে।
৮৭। সিট: নকশার অংশ বা মৌজার অংশের নকশাকে সিট বলে।
৮৮। দাখিলা: খাজনার রশিদ।
৮৯। দশস্বত্ব বন্দোবস্ত: দশ বছর মেয়াদে বন্দবস্ত দেওয়াকে দশ শালা বন্ধবস্ত বলে।
৯০। নক্সা: জমির বা মৌজার ম্যাপ।
৯১। নাল: কৃষি জমি।
৯২।