বাংলাদেশ নতুন ভূমি জরিপ বা ডিজিটাল সার্ভে (BDS) জরিপ -২০২৫

BDS জরিপ ডিজিটাল সার্ভে (Bangladesh Digital Survey) বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ জরিপ বলে ধারনা করা হচ্ছে। আনুমানিক প্রতি ২৫ বছর পর পর ভূমি জরিপ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে নতুন যে জরিপ শুরু হয়েছে এটি সম্পূর্ণ রুপে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হবে। বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (Bangladesh Digital Survey) বলতে সাধারণত ভূমি সংক্রান্ত আধুনিক ডিজিটাল জরিপ কার্যক্রম কে বোঝায়, যা বাংলাদেশ সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশন করার লক্ষ্যে পরিচালনা করছে।

এটি মূলত ভূমি মালিকানা, জমির পরিমাণ, অবস্থান, ব্যবহারযোগ্যতা ও ভূমির শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে নির্ভুল ও আপডেট তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার একটি ব্যবস্থা।

BDS জরিপ বাংলাদেশের সর্বশেষ জরিপ। এটি হবে নির্ভুল ও আধুনিক জরিপ এটির পরে আর কোনো জরিপ এর প্রয়োজন হবে না। এই নতুন ভূমি জরিপ বা ডিজিটাল সার্ভে (BDS) জরিপ চলাকালিন সময় প্রতিটি জেলায় সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট ট্রেনিং ক্যাম্প বসানো হবে এমন পরিকল্পনা রয়েছে।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ চালু হয়েছে :

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশণ. কুষ্টিয়া ও ধামরাই উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ পৌরসভা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ ডিজিটাল সার্ভে (Bangladesh Digital Survey) BDS জরিপ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহযোগীতায় বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মত বিমানের সাহায্যে এরিয়্যাল ফটোগ্রহনের মাধ্যমে ভূমি জরিপ করা হচ্ছে।

📜 BDS (বিডিএস) জরিপ নিজের নামে করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে? 📜

এই জরিপ টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জরিপ হবে। এটি নিজের নামে করতে চাইলে অবশ্যই ভূমির মালিকা প্রমান থাকতে হবে। কোন ধরনের প্রতারনা করলে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।

১। দলিল
২। খতিয়ান
৩। নামজারি খতিয়ান
৪। খাজনার রশীদ (হাল খাজনা)
৪। নকশা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে রাখতে হবে। ( এই ক্ষেত্রে BDS (বিডিএস) জরিপ কারিগনের সহযোগীতা করবে)
৫। ভূমি জরিপ চলাকালিন সময় সকল কাগজপত্র নিয়ে স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকতে হবে।
৭। ওয়ারিশ সম্পদ হলে ওয়ারিশ সার্টিফেকেট সাথে থাকতে হবে।
বি:দ্র: বিডিএস জরিপ চলাকলিন সময় সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে আপনি তথ্য পাবেন।

✅ ডিজিটাল সার্ভের সুবিধা সমূহ:

১। সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। (কাগজে-কলমে কাজ করার ঝামেলা কমবে)
২। জমির মালিকানা সহজে যাচাই করা যাবে। (অনলাইনেই জমির খতিয়ান ও মানচিত্র দেখা যাবে)
৩। জমি বিরোধ বা মামলা কমবে ।
৪। ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে। (জাল দলিল, দখলদারি ইত্যাদি প্রতিরোধ সহজ হবে)
৫। ডিজিটাল ভূমি মানচিত্র তৈরি ও নাগরিক সেবায় সহজতর হবে।

আরো জানতে: পর্চা দেখে জমির হিস্যা কীভাবে বের করবেন – ধাপে ধাপে নির্দেশনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *