পরিসংখ্যানমতে দেখা যায়, ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশ্বজনীন মানবাধিকারের একটি সাধারণ ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করে। উক্ত ঘোষণা মানব পরিবারের সব সদস্যের সহজাত অভিজাত্য, সম ও অহস্তান্তরযোগ্য অধিকারকে বিশ্বে স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও শান্তির ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়। জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাটি একটি মুখবদ্ধ ও ৩০টি অনুচ্ছেদ রয়েছে; যা নিম্নরূপ হয়ে থাকে; যথা-
১) সব মানুষই স্বাধীন, সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিয়েই পৃথিবীতে জন্মলাভ করে। তারা বিবেকসম্পন্ন এবং চিন্তাশক্তির অধিকারী । সেজন্য একে অপরের প্রতি তাদের আচরণ হওয়া উচিত পরস্পর ভ্রাতৃসূলভ । -১ দফা
২) জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, রাজনৈতিক অন্যান্য মতাদর্শ, ধনীগরিব ও জন্মসূত্রে নির্বিশেষে সকলেই এঘোষণাপত্রে বর্ণিত অধিকার এবং স্বাধীনতার সমঅংশীদার। যেকোনো স্বাধীন কিংবা স্বায়ত্ত্বশাসিত বা সীমিত সার্বভৌম দেশের রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক বিশেষত্বের কারণে ওইদেশের কোনো অধিবাসীর প্রতি কোনো প্রকার ভিন্ন আচরণ করা যাবে না। -২ দফা
৩) প্রত্যেক ব্যক্তিরই জীবনের নিরাপত্তা ও মুক্তজীবন যাপনের অধিকার রয়েছে । – ৩ দফা ৪) কোনো মানুষকেই অত্যাচার বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দাসত্ত্বের সমপর্যায়ে আনা যাবে না। যেকোনো প্রকারের দাসনীতি ও দাস ব্যবসা নিষিদ্ধ করতে হবে। – ৪ দফা
৫) কাউকে নির্যাতন করা যাবে না বা অমানবিক যন্ত্রণা বা সাজা দেওয়া যাবে না অথবা কারো ওপর মানবেতর অবস্থা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। -৫ দফা
৬) স্থানকাল নির্বিশেষে সব জায়গায় মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেরই আইনের আশ্রয় নেবার অধিকার রয়েছে। -৬ দফা
সাংবিধানিক আইন
৭) আইনের চোখে সবাই সমান ও শ্রেণি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই সমানভাবে আইনের আশ্রয় নিতে পারবে। এ ঘোষণাপত্রে বর্ণিত অধিকারের প্রয়োগ না হলে বা প্রয়োগে বাধা পড়লে প্রত্যেকেরই অধিকার রয়েছে আইনের আশ্রয়ে সেই অধিকারকে কার্যকর করার। ৭ দফা
৮) শাসনতন্ত্র বা আইন প্রদত্ত মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিরই যথাযথ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার রয়েছে। ৮ দফা
৯) কোনো ব্যক্তিকেই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বন্দি, আটক বা অন্তরীণ রাখা যাবে না। –
৯ দফা
১০) কেউ অপরাধী বলে অভিযুক্ত হলে তিনি তার অধিকার এবং দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করার জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালতে প্রকাশ্যে বিচারের দাবি করতে পারবে। ১০ দফা
১১) (i) কেউ দোষী বলে অভিযুক্ত হলে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পূর্বপর্যন্ত প্রকাশ্য আদালতে আইনের আওতায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সব সুযোগ সুবিধা দাবি করতে পারবে। -১১ (ক) দফা
ii) কেউ যদি কখনো এমন কাজ করে যা রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে দোষণীয় নয়, তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে অন্য কোনো আইনের আওতায় ওই কাজের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। যদি কেউ ঐসময় দোষণীয় কিছু করেও থাকে, তবে পরবর্তীকালে ওইদোষের জন্য তাকে পূর্বের অবস্থায় প্রাপ্য সাজার চাইতে অধিকতর গুরু সাজা দেওয়া চলে না । -১১ (খ) দফা
১২) কোনো ব্যক্তির পরিবারের, বাসস্থানের, চিঠি আদান প্রদানের ওপর কিংবা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর অথবা গোপনীয়তার ওপর কোনো ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না বা তার ব্যক্তিগত সম্মান এবং সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে এমনকিছু করা যাবে না। যারা এসব বিঘ্নের শিকার হবে তারা প্রচলিত আইনে প্রতিকার ও বিচার দাবি করতে পারবে। -১২ দফা
১৩) i) প্রত্যেকেরই স্বীয় রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে যেকোনো স্থানে অবাধে চলফেরা এবং বসবাস করার অধিকার রয়েছে। – ১৩ দফা
ii) প্রত্যেকেরই অধিকার রয়েছে স্বেচ্ছায় নিজ দেশ ত্যাগ করার এবং নিজের দেশে ফিরে আসার। – ১৩ দফা
১৪) i) প্রত্যেকেরই অপরের যেকোনো শত্রুতামূলক আচরণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য অন্যকোনো দেশে আশ্রয় চাওয়া এবং ওইরূপ আশ্রয়ে বাস করার অধিকার রয়েছে। -১৪(ক) দফা
ii) যদি কেউ রাজনৈতিক কারণ ছাড়া অন্যকোনো অপরাধে অপরাধী গণ্য হয়, তবে তিনি অন্যদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাবার অধিকার ভোগ করতে পারবে না। – ১৪ (খ) দফা
১৫) i) পূর্ণবয়স্ক মানুষ মাত্রই একটি রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের দাবিদার। -১৫ (ক) দফা ii) কোনো ব্যক্তির রাষ্ট্রীয় পরিচয়কে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কেড়ে নেওয়া যাবে না বা সে যদি রাষ্ট্রের পরিচয় পাল্টাতে ইচ্ছুক হয়, তবে তা থেকে বিরত করা যাবে না। – ১৫ (খ) দফা

১৬) i) পূর্ণবয়স্ক নারী পুরুষ ধর্ম, বর্ণ, জাতীয়তা নির্বিশেষে একে অপরকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে সংসারী হতে পারবে। দাম্পত্যজীবনে ও বিবাহবিচ্ছেদের পরও প্রতিটি নারীপুরুষ সমঅধিকারের অধিকারী বা অধিকারিণী হবে। -১৬ (ক) দফা
ii) কেবল বর ও কনে উভয়ের পূর্ণ সম্মতিক্রমেই বিবাহ অনুষ্ঠিত হতে পারবে। – ১৬ (খ) দফা iii) যেহেতু পরিবার সমাজের একটি মৌলিক ও স্বাভাবিক অঙ্গ, সেহেতু প্রতিটি পরিবারই সমাজের এবং রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারী হয়। -১৬ (গ) দফা
১৭) মানুষমাত্রই আদর্শের, মুক্তবুদ্ধির ও ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারী বটে। এ অধিকারের আওতায় রয়েছে ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগতভাবে ধর্মান্তরিত হওয়া বা বিশ্বাস পরিবর্তন করার স্বাধীনতা। এছাড়াও রয়েছে ব্যক্তিগতভাবে বা গোষ্ঠীভুক্ত হয়ে প্রকাশ্যে সামাজিকভাবে বা নিজ গৃহাভ্যন্তরে ধর্মাচার বিশ্বাস প্রচার এবং পালন করার স্বাধীনতা । -১৭ দফা
১৮) প্রত্যেক মানুষেরই স্বাধীনভাবে মতামত পোষণ ও ব্যক্ত করার অধিকার রয়েছে। এ অধিকারের মধ্যে রয়েছে নির্বিঘ্নে স্বীয় মতামত তুলে ধরা এবং রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্বিশেষে বিভিন্নস্থান থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি সংগ্রহণ এবং গ্রহণের ইচ্ছা ব্যাখ্যা করার অধিকার। -১৯ দফা ১৯) i) প্রতিটি মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে সভাসমিতির সমাবেশ অনুষ্ঠান করার লক্ষ্যে একত্রিত হওয়ার অধিকার রয়েছে। -২০(ক) দফা
ii) কাউকে জোরপূর্বক কোনো সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। -২০ (খ) দফা ২০) i) সরাসরি ব্যক্তিগতভাবে বা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের স্বদেশের সরকার গঠনে অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে । -২১ (ক) দফা
ii) প্রত্যেকেই নিজেদের পাবলিক সার্ভিসে অংশগ্রহণ করার অধিকারী । – ২১ (খ) দফা
iii) সংশ্লিষ্ট দেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতে দেশের সরকার পরিচালিত হবে। একটি বিশেষ সময়কাল পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ কর্তৃক সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রয়োগে গোপন ব্যালট বা অনুরূপ ব্যবস্থার দ্বারা সরকার পরিবর্তনের সুযোগ থাকা বাঞ্ছনীয় । -২১ (গ) দফা
২১) সমাজের একজন সদস্য হিসেবে প্রতিটি মানুষই সামাজিক নিরাপত্তালাভের অধিকারী। এপদক্ষেপ নিজের মর্যাদা ও স্বাধীনভাবে ব্যক্তিত্ব বিকাশের লক্ষ্যে সমাজের কাছে রাষ্ট্রীয় অথবা সংগঠনের সম্পদের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রত্যেক ব্যক্তিই সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করার অধিকারের দাবিদার। – ২২ দফা
২২) (i) প্রত্যেকেরই কাজ করার, স্বাধীনভাবে কাজ বেছে নেবার ও কাজের জন্য যথাযথ অনুকূল পরিবেশ পাবার অধিকার আছে। এছাড়াও আরো অধিকার রয়েছে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করার। -২৩ (ক) দফা
ii) সব প্রকার ভেদাভেদমুক্ত করে নির্বিশেষে সমান কাজের জন্য বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি পাবার অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে। -২৩ (খ) দফা
iii) প্রত্যেক চাকুরিজীবি তার কাজের জন্য উপযুক্ত বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবার অধিকার সংরক্ষণ করে। -২৩ (গ) দফা
iv) প্রত্যেক শ্রমজীবি তার স্বার্থরক্ষার তাগিদে যেকোনো শ্রমিক সংগঠনের সদস্য হতে পারে বা যেকোনো শ্রমিক সংঘ গঠন করার অধিকার রাখে। -২৩ (ঘ) দফা
২৩) কাজের সময়ে বিরতি ও বিশ্রাম নেওয়া, বেতনসহ ছুটির সুবিধা, সপ্তাহে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করার অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে। -২৪ দফা
২৪) (i) পরিবারের সদস্যবর্গের খাদ্য, বাসস্থান, পোশাক পরিচ্ছদ, চিকিৎসা খরচ এবং .. অন্যান্য সামাজিক দায়দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে মিটিয়ে যথোপযুক্ত জীবনমান বজায় রাখতে পারার সঙ্গত অধিকার রয়েছে প্রতিটি কর্মজীবী নারী-পুরুষের। এছাড়া বেকারত্বের সময়, অসুখ- বিসুখ, দৈহিক অক্ষমতায়, বিধবাকালনী অবস্থায়, বৃদ্ধবয়স ও মানুষের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিভিন্ন উপার্জন কার্যে অক্ষম অবস্থায় তারা নিরাপত্তা লাভের অধিকারী। – ২৫ (ক) দফা
ii) গর্ভধারণকালে ও শৈশবাবস্থায় প্রতিটি মা-শিশুর বিশেষ যত্ন এবং সাহায্য লাভের অধিকারী বৈধ দম্পতির অঙ্গনে বা অন্য যেকোনো সম্পর্কের ভিত্তিতে সন্তান জন্মলাভ করুক না কেন, প্রতিটি শিশুই সমানভাবে সামাজিক স্বীকৃতি এবং নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারী। – ২৫ (খ) দফা
২৫) i) প্রত্যেকেই শিক্ষার আলো লাভের অধিকারী। বিনা খরচে শিক্ষালায়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সবকটি না হলেও অন্তত মৌলিক এবং প্রাথমিক শিক্ষাটুকু যাতে সবাই বিনা খরচে পেতে পারে ওই ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিশেষত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে সাধারণভাবে সবার গ্রহণের আওতায় আনতে হবে এবং উচ্চশিক্ষার দ্বারা মেধার ভিত্তিতে সবার জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে হবে । -২৬ (ক) দফা
ii) মানুষের মানবিক গুণাবলির উন্নতি সাধনে শিক্ষাকে প্রসারিত করতে হবে। এর সাথে স্বাধীনতার মৌলিক, নীতিমালা ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মানবোধকে উচ্চকিত করার লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষা-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সবার মাঝে সমঝোতা, সহিষ্ণু ও সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধন তৈরিকে আরো সম্প্রসারিত করবে। সন্তান-সন্ততিরা কি ধরনের শিক্ষায় শিক্ষিত হবে তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের বাবা-মাই ঠিক করবে । -২৬ (খ) দফা
২৬) i) প্রত্যেকেরই তার আঞ্চলিক সাংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান যথারীতি পালন, শিল্পকলা চর্চাগত উপভোগ এবং বৈজ্ঞানিক প্রগতিতে অংশগ্রহণে সেখানকার সুফলকে ভোগ করার অধিকার রয়েছে। -২৭ (ক) দফা
ii) শিল্প, সাহিত্য ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে যারা মৌলিক অবদান রেখেছে, তাদের অধিকার আছে সংশ্লিষ্ট অবদানের স্বত্ব সংরক্ষণ করার। -২৭ (খ) দফা
২৭) মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রে বর্ণিত সব অধিকার ও স্বাধীনতাকে যথাযথ বাস্তবায়িত করার জন্য সামাজিক পর্যায়ে প্রত্যেকেই একটি সুঠামগতি উপযোগী পরিবেশের দাবিদার। – ২৮ দফা
২৯) (i) কেবল সে সমাজের প্রতি একজন মানুষের একনিষ্ঠ দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে, যেখানে সে তার নিজের ব্যক্তিত্বকে পরিপূর্ণভাবে এবং নির্বিঘ্নে গড়ে তুলতে সক্ষম। – ২৯ (ক) দফা
ii) একটি গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় একজন মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকারকে আইনের সীমাবদ্ধ পরিমণ্ডলে কেবল অপরের অধিকার, স্বাধীনতার মর্যাদা ও স্বীকৃতির জন্য মানবিক মূল্যবোধের প্রয়োজনে, জনজীবনের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং সাধারণ কল্যাণমুখী কাজের জন্য সুচারুভাবে ব্যবহার করতে পারবে। ২৯ (খ) দফা
iii) অনুরূপ স্বাধীনতা এবং অধিকারকে কোনো অস্থাতেই জাতিসংঘের নীতিমালা লঙ্গনের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। ২৯ (গ) দফা ।
২৯) এই ঘোষণাপত্রে বর্ণিত কোনো ধারাকে বিশেষ কোনো রাষ্ট্র, গোষ্ঠী বা ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে চিহ্নিত করা যাবে না বা ধারাকে এমন কোনো কাজের উদ্দেশ্য
অবাধে ব্যবহার করা যাবে না বা ধারাকে ব্যাখ্যা করা চলবে না, যার দ্বারা এ ঘোষণায় বর্ণিত
অন্য যেকোনো অধিকার এবং স্বাধীনতাকে খর্ব করে দেখা যাবে।
৩০ দফা।
এটি শুধুমাত্র মুল কথা বাংলা করা হয়েছে। যাতে করে সকলে বুঝতে পারে। যদি কেহ মূল বিষয় টি জানতে চান তাহেল United Nation Website: পড়ুন- https://www.un.org/en/about-us/universal-declaration-of-human-rights
মানবাধাকির বিষয় আরো জানতে :
১। মানবাধিকারের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা বা প্রভাব বা মূল্যায়ণ
২। মানবাধিকারের উপাদান বা বৈশিষ্ট্য বা শর্ত
৩। মানবাধিকারের সংঙ্গা ও ধারণা