ই-পাসপোর্ট করুন নিজেই (How to make e-Passport?)

ই-পাসপোর্ট আবেদন করে ১৫ থেকে ২১ দিন কর্ম দিবসের মধ্যে পাসপোর্ট হাতের পাওয়া পর্যন্ত করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো আপনাদের। দালাল বিহীন ই-পাসপোর্ট করার সকল নিয়ম এবং ই-পাসপোর্ট আবেদন ক্ষেত্রে যা যা প্রয়োজন হবে তা নিম্নে উল্লেখিত।

সাধারণ জনগণের মধ্যে অনেকেরই ধারণা “দালাল ছাড়া” পাসপোর্ট করা যায় না। যারা এমনটিই চিন্তা করছেন, তাদের বলছি- আপনাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ই-পাসপোর্ট আবেদন করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে আপনাদের নিকট বর্ণনা করতে চলেছি।

অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট হাতে পেতে কি কি পদক্ষেপ অনুসরণ করা হয়েছে এবং কি কি সমস্যার সম্মুখীন সাধারণত মানুষ হয়? আপনারা কিভাবে সেগুলো থেকে বিরত থাকবেন এ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থাকবে।

ই-পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
ই-পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর পাসপোর্ট এর ছবি এবং বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) দেওয়ার জন্য সাথে বেশ কিছু কাগজপত্র সাথে করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যেতে হয়।

পাসপোর্ট আবেদন করতে যে সকল কাগজপত্র/ ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় পরিচয়পত্র, আবেদনপত্র, ব্যাংক জমা ফি এর রশিদ, বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং নাগরিক সনদ। অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে এনআইডি কার্ডের বিপরীতে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ গ্রহণযোগ্য হবে। এক্ষেত্রে পিতা-মাতার আইডি কার্ডের কপি বাধ্যতামূলক।

  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে)
  • পাসপোর্ট Application Summery
  • ই পাসপোর্ট আবেদন কপি
  • নাগরিক সনদ / চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
  • ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ / গ্যাস)
  • পেশাজীবী প্রমাণপত্র
  • আবেদনকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যুক্ত করতে হবে।

ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য epassport.gov.bd ভিজিট করে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং থানা নির্বাচন করে একটি Email ID প্রদান করে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। অতঃপর ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন।

আপনার ইমেইলে no-reply@epassport.gov.bd এই ঠিকানা থেকে ইমেইল ভেরিফিকেশনের জন্য মেইল করা হবে। ইমেইলের লিংক প্রবেশ করলে আপনার একাউন্টটি একটিভ হয়ে যাবে। তারপর ব্যক্তিগত তথ্য, পিতা-মাতার তথ্য, জরুরি যোগাযোগের ঠিকানা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করুন।

অনলাইনে ই পাসপোর্ট চেক করে আপনার পাসপোর্ট আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পাসপোর্ট আবেদন শুরু করার জন্য আমাদেরকে ভিজিট করতে হবে www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে। তারপর মেনু থেকে Apply Online বাটনে ক্লিক করতে হবে।

এরপর আপনাকে নতুন একটি পেজে নিয়ে যাবে যেখানে জেলা পাসপোর্ট অফিস এবং আপনার থানার নাম (পুলিশ স্টেশনের নাম) সিলেক্ট করতে হবে।

পাসপোর্ট অফিস এবং থানা নির্বাচন
পাসপোর্ট অফিস নির্বাচন করার পূর্বে আবেদনটি বাংলাদেশ থেকে নাকি বিদেশি কোন দূতাবাস থেকে করা হচ্ছে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যেহেতু বাংলাদেশ থেকে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করছি তাই Are you applying from Bangladesh? এর স্থলে “Yes” নির্বাচন করবো।

যে পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন তা নির্বাচন করুন। তবে নিজ জেলার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্বাচন করাই উত্তম। এক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কোন প্রকার ঝামেলা হয় না।

পাসপোর্ট অফিস নির্বাচন করা হয়ে গেলে আপনাকে আপনার থানা অর্থাৎ পুলিশ স্টেশন নির্বাচন করতে হবে। সেখানে নির্বাচন করা পুলিশ স্টেশনে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স / ভেরিফিকেশন হবে।

ইমেইল আইডি ভেরিফিকেশন
ই পাসপোর্ট আবেদন শুরু করার পূর্বে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। একাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার সচল ইমেইল আইডি প্রদান করুন। সঠিক ইমেইল আইডি ইনপুট করা হয়ে গেলে নিচে থাকা সিকিউরিটি ক্যাপচার I’m human ঘরে টিক মার্ক দিন।

কি পাসপোর্ট সার্ভার থেকে আপনার ইমেইলে একটি মেইল পাঠানো হবে, যেখানে একাউন্ট অ্যাক্টিভেশন লিংক দেয়া থাকবে। এখন আপনার ইমেইল থেকে লিংকটিতে ক্লিক করলে একাউন্ট একটিভ হয়ে যাবে।

পাসপোর্ট এর ধরন বাছাই
পাসপোর্ট এর ধরন বাছাই করার ক্ষেত্রে আমরা মূলত দুই ধরনের ই পাসপোর্ট দেখতে পারবো। একটি হল অর্ডিনারি পাসপোর্ট অপরটি অফিসিয়াল পাসপোর্ট।

  • Ordinary Passport
  • Official Passport

আমরা যারা সাধারন নাগরিক তারা পাসপোর্ট এর দল হিসেবে অর্ডিনারি পাসপোর্ট বাছাই করব। অফিসিয়াল পাসপোর্ট হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবী এবং কর্মকর্তাদের জন্য। অফিসের পাসপোর্টকে সরকারি পাসপোর্টে বলা হয়।

ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করুন
ই পাসপোর্ট আবেদনের প্রথম ধাপ ব্যক্তিগত তথ্য পূরণের মাধ্যমে সূচনা করতে হবে। যদি নিজের জন্য আবেদন করেন তাহলে I apply for myself টিক মার্ক করে দিবেন। তারপর পর্যায়ক্রমে লিঙ্গ, নাম, পেশা, জন্ম তারিখ এবং জাতীয়তা নির্বাচন করতে হবে।

পাসপোর্ট আবেদনের ফরম সঠিকভাবে পূরণ করা হলে সেভ এন্ড কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী স্টেপে যেতে হবে।

ঠিকানা নির্বাচন করুন
পাসপোর্ট আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হচ্ছে ঠিকানা নির্বাচন করা। আপনার পাসপোর্টে যে ঠিকানা নির্বাচন করবেন সেই ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে। তাই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে কোন প্রকার ঝামেলায় পরতে না চাইলে আপনার সঠিকভাবে ঠিকানা লিখুন।

আপনার আইডি কার্ডের তথ্য গুলো যেমন আছে ঠিক তেমন করে আবেদন ফরম পুরন করুন। আবেদনে ভুল করলে পরবর্তীতে পাসপোর্ট সংশোধনের আবেদন করতে হয়। এতে সময় ও অর্থ দুটিই ক্ষতি হয়। আইডি কার্ডের পেছনে ঠিকানা যেটি লেখা সে অনুসারে এড্রেস লিখুন।

আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে “Present Address same as Permanent” এটি নির্বাচন করে দিলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় একই ঠিকানা বসে যাবে।

বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন হলে আপনার ঠিকানা আলাদা ভাবে ঠিকানা দিতে হবে। এক্ষেত্রে মজার বিষয় হলো, ঠিকানা দুটি ভিন্ন হলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা থানা ভেরিফিকেশন উভয় ঠিকানায় হতো আর এখন পুলিশ ভেরিফিকেশন নেই। তাই পাসপোর্ট পেতে আরো সহজ হয়েছে জনগণের জন্য।

ID documents
আমরা যেহেতু নতুন ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চলেছে তাই No, I don’t have any previous passport” এটি সিলেক্ট করবো। কিন্তু আপনার যদি পূর্বে কোন MRP অথবা ই পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে আপনার পাসপোর্ট এর ধরন অনুসারে অপশন বাছাই করুন।

এরপর আপনার কাছে জানতে চাওয়া হবে আপনার অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট আছে কিনা। আমার যেহেতু অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট নেই তাই “No, I don’t have” এটি নির্বাচন করতে হবে।

তারপর আপনার এন আইডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করে আইডি ডকুমেন্ট ধাপটি সম্পন্ন করুন। আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের কম হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করতে পারবে।

পিতা-মাতা তথ্য প্রদান করুন
Parental information এই ধাপে আবেদনকারীর পিতা মাতার তথ্য প্রদান করতে হবে। পিতা মাতার তথ্য পূরণের জন্য পিতার নাম, মাতার নাম, তাদের পেশা এবং তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিয়ে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে।

পাসপোর্টের আবেদন করতে পিতা-মাতার যে যে তথ্য প্রয়োজন হবে-

  • মাতা-পিতার নাম (এনআইডি কার্ড অনুসারে)
  • পিতা-মাতার NID Card নাম্বার
  • তাদের জাতীয়তা
  • পিতা-মাতার পেশা
  • পিতা-মাতা তথ্য ও পূরণ করার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে আবেদনকারী আইডি কার্ডে পিতা মাতার তথ্য যেভাবে দেওয়া আছে ঠিক সেভাবে যাতে পূরণ করা হয়।

বৈবাহিক স্ট্যাটাস
আবেদনকারী বিবাহিত না অবিবাহিত সেটি জানতে চাও হবে। ড্রপডাউন মেনু থেকে Marital Status বাছাই করে বিবাহিত অথবা অবিবাহিত অপশন সিলেক্ট করতে পারবেন।

বৈবাহিক আবস্থার স্থলে ৪ ধরনের বৈবাহিক অবস্থা অপশন দেখতে পাবেন।

  • SINGLE
  • MARRIED
  • DIVORCED
  • WIDOWER or WIDOW

উপরে উল্লেখিত অপশন গুলো থেকে আপনার অবস্থা অনুসারে একটি অপশন বাছাই করুন।

Emergency Contact
জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য আপনার তথ্য ব্যতীত অন্য একজনের তথ্য প্রদান করতে হবে। Emergency Contact হিসেবে পরিবারের সদস্য যেমন মা বাবা কিংবা বড় ভাই এদের যে কারো একজনের ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার প্রদান করুন।

জরুরি প্রয়োজনে যাতে খুব সহজে ঐ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা যায় তার জন্য মোবাইল নাম্বার ও সরাসরি যোগাযোগের ঠিকানা প্রদান করতে হবে। এই তথ্যগুলো ওই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা অনুসারে ফিলাপ করা উত্তম।

পাসপোর্টের ধরন বাছাই করুন
আপনি কোন ধরনের পাসপোর্ট নিতে চাচ্ছেন সেটির বাছাই করার পালা এখন। পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদের উপর ভিত্তি করে চার ধরনের পাসপোর্ট লক্ষ্য করা যায়।

  • 5 years 48 pages
  • 5 years 64 pages
  • 10 years 46 pages
  • 10 years 64 pages

পাসপোর্টের ধরন
আপনি কতগুলো দেশ ভ্রমণ করবেন অথবা পাসপোর্ট এর পাতাগুলো কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটার উপর নির্ভর করে ৪৮ কিংবা 64 পেইজের পাসপোর্ট আবেদন করতে পারেন। ব্যবসায়িক কাজে খুব বেশি ট্রাভেল না করলে 48 পৃষ্ঠার পাসপোর্ট সাধারণ মানুষের জন্য যথেষ্ট।

ডেলিভারির ধরন সিলেক্ট করুন
কত সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট ডেলিভারি হবে তার ওপর নির্ভর করে পাসপোর্ট ডেলিভারির ধরণকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে রেগুলার, এক্সপ্রেস এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে পাসপোর্ট করা যাচ্ছে।

তিন ধরনের ডেলিভারি সিস্টেম থাকলেও অনলাইনে শুধুমাত্র রেগুলার এবং এক্সপ্রেস এই দুই ধরনের ডেলিভারি টাইপ বাছাই করা যায়।

রেগুলার ডেলিভারিতে পাসপোর্ট হাতে পেতে ১৪ থেকে ২১ দিন সময় লাগে। আবেদনের কোন প্রকার সমস্যা না থাকলে ১৪ দিনের মধ্যেই আবেদনকারী পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যায়। এক্ষেত্রে ব্যাংক জমা- ৫,৭৫০/- টাকা।

যারা জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে চায় তাদের জন্য এক্সপ্রেস ডেলিভারি বাছাই করা প্রয়োজন। বিদেশগামী যাদের ভিসার মেয়াদ খুব অল্প কিংবা কিছুটা তাড়াতাড়ি পাসপোর্ট প্রয়োজন তারা এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক জমা- ৮,০৫০/- টাকা।

সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি সিস্টেমটি অনলাইনের মাধ্যমে বাচাই করার সুযোগ নেই এর জন্য সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে পাসপোর্ট পাওয়ার যথাযথ কারণ দেখিয়ে আবেদন করতে হবে। চিকিৎসার কারণে বিদেশে যাওয়া কিংবা ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হলে Super Express পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক জমা- ১০,৩৫০/- টাকা।

Passport Fee প্রদান করুন
দেখতে দেখতে ই পাসপোর্ট করার প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছি। এখন পাসপোর্ট এর সরকার নির্ধারিত Passport Fee প্রদান করতে হবে। আবেদন সাবমিট করার আগে আবেদন সামারি থেক আপনার তথ্য গুলো পুনরায় যাচাই করে নিন।

পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার জন্য দুটি মাধ্যম রয়েছে একটি হচ্ছে ই পাসপোর্ট অনলাইন পেমেন্ট অপরটি হচ্ছে ব্যাংকের মাধ্যমে (ব্যাংক ড্রাফ)।

অনলাইনে ই পাসপোর্ট ফ্রি পেমেন্ট করার ব্যবস্থা থাকলেও আমার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ হচ্ছে ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করা। ব্যাংকের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে চাইলে অফলাইন পেমেন্ট বাছাই করুন।

আবেদন কপি প্রিন্ট করুন
আমাদের দেখানো প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনি সফলভাবে এই পাসপোর্ট আবেদনের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছেন। সঠিকভাবে আবেদন সাবমিট হয়ে গেলে আপনার সামনে অ্যাপ্লিকেশন সামারি এবং আবেদন কপি ডাউনলোড করার অপশন চলে আসবে।

এখন আবেদনের কপি এবং Application summery প্রিন্ট অথবা pdf আকারে সংগ্রহ করুন। ই পাসপোর্ট আবেদন করতে যে সকল ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেগুলোর সাথে এই আবেদন কপিটি রাখতে হবে।

ডকুমেন্টস ও বায়োমেট্রিক প্রদান করুন
আপনার পাসপোর্ট আবেদনটি সাবমিট হয়ে গেলে, পাসপোর্ট অফিসে যে সব কাগজপত্র জমা দেওয়া লাগে তা প্রস্তুত করুন। আর যদি পাসপোর্ট ফ্রি অফলাইন সিলেট করে থাকেন তাহলে ব্যাংকের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর ফ্রি পরিশোধ করে চালান রশিদ সংগ্রহ করুন।

সব ডকুমেন্টস রেডি হয়ে গেলে সেগুলো জমা দেওয়া এবং বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। ব্যস্ত নগরীর পাসপোর্ট অফিস গুলোতে আবেদনের সময় অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ডেট বাছাই করার অপশন থাকে। কিন্তু আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করার পর যে কোন দিন (ছুটির দিন ব্যতীত) গেলেই হলো।

আপনি পাসপোর্ট অফিসে যাবেন, আবেদন কপি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রই জমা দিবেন প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করার পর আপনার হাতের ছাপ স্বাক্ষর ছবি অর্থাৎ বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করবে। তারপর আপনাকে একটি ডেলিভারির স্লিপ/ টোকেন দেয়া হবে। এই ডেলিভারি স্লিপ টি সযত্নে সংরক্ষণ করুন।

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট করার ৬ মাসের মধ্যে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত না হলে বা আবেদন কপি, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা না দিলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন
পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার প্রথম আলামত হচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশ। পাসপোর্ট ইস্যু হওয়ার পূর্বে ব্যক্তির নামে কোন প্রকার মামলা মোকদ্দমা রয়েছে কিনা সেটি ভেরিফাই করার জন্য নিজ থানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন পাঠানো হয়।

এর জন্য আপনাকে থানায় অথবা পুলিশ আপনার বাড়িতে তল্লাশির জন্য যেতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই আপনার সম্পর্কে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

অবশেষে যখন আপনার পাসপোর্ট তৈরি হয়ে যাবে এবং ইস্যু করা হবে তখন আপনার মোবাইলে SMS দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।

ই পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে আবার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে, নিজে স্বাক্ষর করে এবং ডেলিভারি স্লিপ দেখিয়ে পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে হবে। একজনের পাসপোর্ট অন্যজন কোনভাবেই গ্রহণ করতে পারবে না।

MRP থেকে ই পাসপোর্ট রুপান্তর করতে কি করতে হয়?
পুরানো হাতের লেখা কিংবা MRP পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্টে রূপান্তর করতে হলে, নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে। যার পূর্বে কোন পাসপোর্ট ছিল না তার সাথে MRP থেকে ই পাসপোর্ট রুপান্তর পার্থক্য শুধু পাসপোর্ট আবেদনের যেখানে ID Documents সেখানে পূর্বের পাসপোর্ট এর তথ্য দিতে হবে।

সবচেয়ে কম সময়ে ই পাসপোর্ট কিভাবে পাব?
সবচেয়ে কম সময়েই পাসপোর্ট পেতে হলে পাসপোর্ট ডেলিভারির ধরনের হিসেবে এক্সপ্রেস ডেলিভারি অথবা সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি নির্বাচন করতে হবে।

ই-পাসপোর্ট ফি কত টাকা?
পাসপোর্ট এর কি পাসপোর্ট এর ধরণের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে ১০ বছর মেয়াদী এবং ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট হয়। এদের মধ্যে রয়েছে 64 পৃষ্ঠা এবং 48 পৃষ্ঠার ভেরিয়েন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *